মৃত স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামীর উত্তরাধিকার হচ্ছে দুই শর্তে।
প্রথমত, যদি উক্ত স্ত্রীর কোন সন্তান থাকে তাহলে স্বামী পাবে ১/৪ অংশ বা ২৫%। দ্বিতীয়ত, যদি উক্ত স্ত্রীর কোন সন্তান না থাকে তাহলে স্বামী পাবে ১/২ অংশ বা ৫০%। এখানে, স্ত্রীর রেখে যাওয়া যেকোনো সম্পত্তি বুঝাবে। স্থাবর, অস্থাবর সকল সম্পত্তি। আবার, স্ত্রীর সন্তান বলতে স্ত্রীর নিজের গর্ভের সন্তানকে বুঝাবে। স্ত্রীর সাথে তার এই স্বামীর সন্তান না হয়ে যদি পূর্বের কোন স্বামীর সাথেও সন্তান থাকে তাহলেও বর্তমান স্বামী পাবে ১/৪ অংশ বা ২৫%। অন্যদিকে যদি স্ত্রীর কোন সন্তান না থাকে, কিন্তু স্বামীর অন্য সংসারের সন্তান থেকে থাকে, তাহলেও স্বামী পাবে ১/২ অংশ বা ৫০%। বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে ভিডিওটি দেখুন। ➨ আইন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ https://article.legalfist.com ➨জয়েন করুন ফেসবুক গ্রুপেঃ https://www.facebook.com/groups/legalfist ➨ ই-মেইলঃ tanbir@legalfist.comLEGAL FIST
promoting just right
ডেভেলপার কোম্পানিকে জমি দেওয়ার আগে যে বিষয়গুলো দেখবেন
শহর অঞ্চলে কর্মের উদ্দেশ্যে এসে অনেকেই থিতু হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে যার ফলে নিজের অর্জিত অর্থ সম্পদ দিয়ে বা অনেকেই আগে গ্রামের সম্পত্তি বিক্রি করে এনে শহরে জমি ক্রয় করেন। গ্রামের ২ বিঘা সম্পত্তি বিক্রি করে শহরে ২ কাঠা কিনতেও হিমশিম খেতে হয়, নিজের ডিপোজিট ভাঙ্গতে হয়, সেলারি লোণ করাতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক সঞ্চয় থেকে শহরের বুকে এক টুকরো জমি ক্রয় করতে সক্ষম হয়। কিন্তু, শুধু জমি ক্রয় করে তো কোন পায়দা নেই, বরং শহরে জমি খালি রাখাটাই দায়। আবার লোণ নিয়ে বাড়ি করবে সেই যোগানও নাই। যার ফলে শেষ অবলম্বন ডেভেলপার কোম্পানি, যারা বিল্ডিং করে দিবে, বিনিময়ে অর্ধেক বা (৪০/৬০)% ফ্ল্যাট নিয়ে নিবে। কিন্তু, কোন কোম্পানি ভালো, কোনটা খারাপ, কত সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাট দিতে হবে, কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে, কি কি তিক্ত বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে, ডেভেলপার কথা মত কাজ না করলে কি করণীয় ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে তবেই ডেভেলপারকে জমি দেওয়া উচিত। বাকীটা দেখুন ভিডিওতে।
➨ আইন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ https://article.legalfist.com ➨জয়েন করুন ফেসবুক গ্রুপেঃ https://www.facebook.com/groups/legalfist ➨ ই-মেইলঃ tanbir@legalfist.comএজমালি সম্পত্তি বণ্টন প্রক্রিয়া
একটি সম্পত্তির মালিকানা যখন একের অধিক মালিকের কাছে থাকে, তখন ঐ সম্পত্তিকে আমরা এজমালি সম্পত্তি বলে থাকে। ধরুন আপনার বাবা একটি সম্পত্তির মালিক, আপনার বাবার মৃত্যুর পর ওনার যতজন ওয়ারিশ আছে অর্থাৎ আপনার মা এবং আপনারা ভাই-বোন সকলে মিলে ওই সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করবেন। যেহেতু আপনাদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত বন্টন হয়নি অর্থাৎ কে কতটুকু নিবেন এবং কে কোন দিক থেকে নিবেন, সেটা নির্ধারণ হয়নি, তাই পুরো সম্পত্তিকে আপনাদের সকলের একসাথে এজমালি মালিক সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হবে। সকল ভাই-বোন তথা ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তি বন্টন করার জন্য প্রথম পর্যায়ে আপনারা নিজেরা বসে আপোষ বন্টন দলিলের মাধ্যমে বণ্টন কার্য সম্পন্ন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আপনার জমি যে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অধীনস্থ সেই অফিসে গিয়ে একটি আপোষ বণ্টন দলিল করলেই বন্টন কার্য সম্পন্ন হয়ে যাবে। কিন্তু যদি আপনাদের মধ্যে আপোষ বন্টন না হয়, সে ক্ষেত্রে আপনাকে আদালতে বাটোয়ারা মামলা করতে হবে। যদিও বাটোয়ারা মামলা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু কখনো কখনো আপোষ বন্টন সম্ভব হয় না কেননা নিজেদের মধ্যে নিজেরা একে অন্যকে ছাড় দিতে রাজি হয় না বলে বাটোয়ারা মামলা করতে অনেক সময় বাধ্য হতে হয়। তবে সময় এবং অর্থের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য আপোষ বন্টনের বিকল্প নেই।
➨ আইন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ https://article.legalfist.com ➨জয়েন করুন ফেসবুক গ্রুপেঃ https://www.facebook.com/groups/legalfist ➨ ই-মেইলঃ tanbir@legalfist.comকি করলে মানহানি মামলা হয়? | Defamation Lawsuit
কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার সুনাম বা খ্যাতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে বা এমন হবে জেনেও উদ্দেশ্যমূলক শব্দাবলী বা চিহ্ন বা প্রতীকের সাহায্যে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে এমনভাবে কোন কিছু প্রচার বা প্রণয়ন বা প্রকাশ করে, তাহলে ওই ব্যক্তির মানহানি করেছে বলে ধরে নেয়া হয়; যা দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৯৯ ধারা অনুসারে। তবে জনকল্যাণের স্বার্থে সত্য বক্তব মানহানি হবে না। মানহানির শাস্তিঃ দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৯ ধারা অনুসারে মানহানির মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি পুনরায় একই অপরাধ করে, তাহলে তাকে ৫ বছরের কারাদন্ড বা ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যেতে পারে। ➨ আইন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ https://article.legalfist.com ➨জয়েন করুন ফেসবুক গ্রুপেঃ https://www.facebook.com/groups/legalfist ➨ ই-মেইলঃ tanbir@legalfist.comতালাকের পর সন্তানের দায়িত্ব ও ভরণপোষণ | Child Custody After Divorce in BD
সাধারণত একটি সন্তানের অভিভাবকত্ব মা বাবা দুইজন মিলে উপভোগ করে থাকে। বাবা মা যেকোনো একজনের মৃত্যুর পর বাকিজন সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে থাকেন। কিন্তু, যখন বাবা মায়ের মধ্যে ডিভোর্স বা তালাক বা বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তখন সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষ স্বামী স্ত্রী হিসেবে যত খারাপই হোক না কেন, বাবা মা হিসেবে পৃথিবীর কোন বাবা মা কখনোই খারাপ হয় না। তাই বাবা মা দুইজনই তালাকের পরও সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে থাকে। কিন্তু, মুসলিম আইন অনুসারে তালাক বা বিচ্ছেদের পর ছেলে সন্তান ৭ বছর বয়স পর্যন্ত এবং মেয়ে সন্তান সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত মায়ের কাছে থাকতে পারবে। কিন্তু, ছেলে ৭ পার করার পর এবং মেয়ে সাবালিকা হওয়ার পর বাবার কাছে চলে যাবে। অর্থাৎ বাবার অভিভাবকত্ব ছেলের বয়স ৭ হওয়ার পর আর মেয়ে সাবালিকা হওয়ার পর। তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে, তা জানতে পুরো ভিডিওটি দেখতে পারেন।
➨ আইন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ https://article.legalfist.com ➨জয়েন করুন ফেসবুক গ্রুপেঃ https://www.facebook.com/groups/legalfist ➨ ই-মেইলঃ tanbir@legalfist.comহিন্দু উত্তরাধিকার আইন | Hindu Inheritance Law
উত্তরাধিকার আইন সকল ধর্মের জন্য তাদের নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে পালন করা হয়। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য মুসলিম আইন অনুসারে আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য হিন্দু আইন অনুসারে। হিন্দু আইনের উত্তরাধিকার আবার দুই ভাগে বিভক্ত, মিতাক্ষরা আর দায়ভাগ। আমাদের বাংলাদেশে দায়ভাগ অনুসরণ করা হয়। দায়ভাগ অনুসারে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিম্নে বর্ণিত ৫৩ জনের যে ক্রম দেওয়া হয়েছে, সেই ক্রম অনুসারেই বণ্টন করা হয়। তবে, নারীরা শুধুমাত্র জীবনস্বত্ব হিসেবে সম্পত্তি ভোগদখল করতে পারে, পুরোপুরি মালিকানা অর্জন করতে পারে না, যার ফলে তারা উক্ত সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারে না। নিম্নে ৫৩ জনের ক্রম দেওয়া হলঃ
১। ছেলে ২। ছেলের ছেলে ৩। ছেলের ছেলের ছেলে ৪। স্ত্রী, ছেলের স্ত্রী, ছেলের ছেলের স্ত্রী, ছেলের ছেলের ছেলের স্ত্রী ৫। মেয়ে ৬। মেয়ের ছেলে ৭। বাবা ৮। মা ৯। ভাই, সহোদর ভাই না থাকলে বৈমাত্রেয় ভাই ১০। ভাইয়ের ছেলে, সহোদর ভাই না থাকলে বৈমাত্রেয় ভাইয়ের ছেলে ১১। ভাইয়ের ছেলের ছেলে, সহোদর ভাই না থাকলে বৈমাত্রেয় ভাইয়ের ছেলের ছেলে ১২। বোনের ছেলে ১৩। বাবার বাবা ১৪। বাবার মা ১৫। বাবার ভাই ১৬। বাবার ভাইয়ের ছেলে ১৭। বাবার ভাইয়ের ছেলের ছেলে ১৮। বাবার বোনের ছেলে ১৯। বাবার বাবার বাবা ২০। বাবার বাবার মা ২১। বাবার বাবার ভাই ২২। বাবার বাবার ভাইয়ের ছেলে ২৩। বাবার বাবার ভাইয়ের ছেলের ছেলে ২৪। বাবার পিসির ছেলে ২৫। ছেলের মেয়ের ছেলে ২৬। ছেলের ছেলের মেয়ের ছেলে ২৭। ভাইয়ের মেয়ের ছেলে ২৮। ভাইয়ের ছেলের মেয়ের ছেলে ২৯। চাচার মেয়ের ছেলে ৩০। চাচার ছেলের মেয়ের ছেলে ৩১। বাবার চাচার মেয়ের ছেলে ৩২। বাবার চাচার ছেলের মেয়ের ছেলে ৩৩। মায়ের বাবা (নানা) ৩৪। মায়ের ভাই (মামা) ৩৫। মায়ের ভাইয়ের ছেলে (মামায়ের ছেলে) ৩৬। মায়ের ভাইয়ের ছেলের ছেলে (মামায়ের ছেলের ছেলে) ৩৭। মায়ের বোনের ছেলে (মাসির ছেলে) ৩৮। মায়ের বাবার বাবা ৩৯। মায়ের বাবার ভাই ৪০। মায়ের বাবার ভাইয়ের ছেলে ৪১। মায়ের বাবার ভাইয়ের ছেলের ছেলে ৪২। মায়ের বাবার বোনের ছেলের ছেলে ৪৩। মায়ের বাবার বাবার বাবা ৪৪। মায়ের বাবার বাবার ভাই ৪৫। মায়ের বাবার বাবার ভাইয়ের ছেলে ৪৬। মায়ের বাবার বাবার ভাইয়ের ছেলের ছেলে ৪৭। মায়ের বাবার বাবার বোনের ছেলে ৪৮। মায়ের ভাইয়ের মেয়ের ছেলে ৪৯। মায়ের ভাইয়ের ছেলের মেয়ের ছেলে ৫০। মায়ের বাবার ভাইয়ের মেয়ের ছেলে ৫১। মায়ের বাবার ভাইয়ের ছেলের মেয়ের ছেলে ৫২। মায়ের বাবার বাবার ভাইয়ের মেয়ের ছেলে ৫৩। মায়ের বাবার বাবার ভাইয়ের ছেলের মেয়ের ছেলে ➨ আইন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ https://article.legalfist.com ➨জয়েন করুন ফেসবুক গ্রুপেঃ https://www.facebook.com/groups/legalfist ➨ প্রয়োজনে ই-মেইল করুনঃ tanbir@legalfist.comআপনি সর্বোচ্চ কতটুকু সম্পত্তির মালিক হতে পারবেন?
চীন, রাশিয়ার মতো যেসব দেশে সমাজতন্ত্র চর্চা করা হয় সেসব দেশে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পত্তির বেশী মালিক কেউ হতে পারে না। এই আর্টিকেলে আমরা সমাজতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করিনি, তবে যেহেতু আল্লাহ্ জমির পরিমাণটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তাই একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কতটুকু জমির মালিক হওয়া উচিত সেটাও আইনগত ভাবে নির্ধারণ করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। সেই সূত্র ধরে বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে বিভিন্ন হারে জমির সর্বোচ্চ মালিকানা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সবশেষে ১৯৮৪ সালে ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা একটি যৌথ পরিবার সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা জমির মালিক হতে পারবেন বলে নির্ধারণ করা হয়, যা কাঠার হিসেবে ১২০০ এবং শতাংশের হিসেবে ১৯৮০। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি বা একটি যৌথ পরিবার সর্বোচ্চ ১২০০ কাঠা বা ১৯৮০ শতাংশের বেশী মালিক হতে পারবেন না, যদি অতিরিক্ত সম্পত্তি থাকে তাহলে তা সরকার নিয়ে নিবেন(শর্ত সাপেক্ষে)।
➨ আইন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুনঃ https://article.legalfist.com ➨জয়েন করুন ফেসবুক গ্রুপেঃ https://www.facebook.com/groups/legalfist ➨ প্রয়োজনে ই-মেইল করুনঃ tanbir@legalfist.com-
চীন, রাশিয়ার মতো যেসব দেশে সমাজতন্ত্র চর্চা করা হয় সেসব দেশে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পত্তির বেশী মালিক কেউ হতে পারে না। এই আর্টিকেলে আমরা স...
-
মৃত স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামীর উত্তরাধিকার হচ্ছে দুই শর্তে। প্রথমত, যদি উক্ত স্ত্রীর কোন সন্তান থাকে তাহলে স্বামী পাবে ১/৪ অংশ বা ২৫%। দ্ব...
-
ব্যক্তি জীবনে কোন একটি বিষয়ে যখন পরিবর্তন করা হয় এবং সেটি সকলের অবগতির জন্য ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তখন যে লিখিত ডকুমেন্টের মাধ্যমে স...